Blog 1

আকাশে ভেসে বেড়ানো শক্তির নতুন বিপ্লব!

Sabbir Ahmed | Department of Statistics and Data Science | 52nd Batch

শক্তি মানেই ক্ষমতা — আর যুদ্ধক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে মূল্যবান মুদ্রা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা DARPA-এর নতুন প্রোগ্রাম POWER (Persistent Optical Wireless Energy Relay) ঠিক এই শক্তিকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে। এই প্রোগ্রামের লক্ষ্য — লেজার রশ্মির মাধ্যমে তারবিহীনভাবে শক্তি পাঠানো, সেটাও মাটির এক প্রান্ত থেকে আকাশে ভেসে থাকা প্ল্যাটফর্মে, সেখান থেকে আবার অন্য কোথাও — একদম স্ন্যাপচ্যাটের মতো, কিন্তু পাওয়ার স্ন্যাপ! সম্প্রতি নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস মিসাইল রেঞ্জে DARPA একটা যুগান্তকারী পরীক্ষা চালিয়েছে। সেখানে ৮০০ ওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ ৮.৬ কিমি (৫.৩ মাইল) দূরত্বে পাঠানো হয়েছে লেজার রশ্মির মাধ্যমে — পুরোপুরি তারবিহীন! আগের রেকর্ডটা ছিল মাত্র ২৩০ ওয়াট, ১.৭ কিমি দূরত্বে। এবার সেটা প্রায় চারগুণ শক্তি ও পাঁচগুণ পথ — অগ্রগতিটা বোঝাই যাচ্ছে! এই পরীক্ষায় ৩০ সেকেন্ডের লেজার পালস প্রেরণ করা হয়েছে, প্রায় ২০% দক্ষতায়। রশ্মিটি একটি ছোট ছিদ্র দিয়ে ঢুকে প্যারাবলিক আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে সোলার সেলের ওপর পড়ে — যেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। আর মজার কথা? এই পরীক্ষায় তৈরি হওয়া কিছু বিদ্যুৎ দিয়ে পপকর্ন বানানো হয়েছে! POWER প্রোগ্রামের ভবিষ্যৎ: আকাশে উড়বে শক্তি, চলবে ড্রোন! DARPA-এর এই প্রোগ্রাম শুধুমাত্র একটা লেজার ডেমো নয় — বরং এক বহু-পথের, স্থিতিস্থাপক শক্তি নেটওয়ার্ক গঠনের স্বপ্ন। POWER প্রোগ্রাম এমন এক জাল তৈরি করতে চায়, যেখানে মাটির লেজার আকাশে থাকা অপটিক্যাল রিলে (Relay) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শক্তি পাঠাবে — যেখান থেকে তা আবার অন্য কোথাও, এমনকি ভূমির রিসিভারে পৌঁছাতে পারবে। এই আকাশচরী রিলে সিস্টেমগুলো একেবারে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে। এখন আর কোনো UAV বা ড্রোনকে জ্বালানি নিয়ে উড়তে হবে না — তার বদলে ওয়্যারলেস পাওয়ার বিমিং-এর মাধ্যমে তারা যেকোনো সময়ে, যেকোনো জায়গা থেকে শক্তি গ্রহণ করতে পারবে। এতে করে প্ল্যাটফর্মগুলোর সাইজ ছোট হতে পারবে, খরচ কমবে, এবং মিশনের সময়সীমা বা পরিসীমা কার্যত সীমাহীন হয়ে যাবে। এক শতাব্দীর পুরনো স্বপ্ন বাস্তবের পথে এই ধারণার বীজ কিন্তু নতুন নয়। ১৯০১ সালে নিকোলা টেসলা নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে ওয়ার্ডেনক্লিফ টাওয়ার বানিয়েছিলেন, বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ পাঠানোর স্বপ্নে। তখনকার প্রযুক্তি ও অর্থায়নের সীমাবদ্ধতায় তা থেমে যায়। কিন্তু আজ, সেই স্বপ্নই DARPA-এর হাত ধরে বাস্তবের দিকে এগোচ্ছে। POWER প্রোগ্রাম শুধু সামরিক নয়, বরং ভবিষ্যতের মহাকাশ-ভিত্তিক সৌর শক্তি, দুর্গম অঞ্চলে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ, কিংবা জরুরি পরিস্থিতিতে শক্তি ডেলিভারি — সব কিছুতেই বিপ্লব আনতে পারে।

Read More →
Blog 2

প্লাস্টিক ধ্বংসে সামুদ্রিক ছত্রাক!

Rakibul Islam | Department of Botany | 52nd Batch

Parengyodontium album সামুদ্রিক একটি ফাংগাস। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে এই ছত্রাকটি পলিথিন বা প্লাস্টিক ডিগ্রেড করতে সক্ষম। Royal Netherlands Institute for Sea Research (NIOZ) ও কিছু সহযোগী গবেষণা প্রতিষ্ঠান উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে ছত্রাকটি সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে UV‑pro-treated এবং un‑treated পলিথিন (PE)–এর উপর তার ডিগ্রেডেশন ক্ষমতা নিয়ে একটি গবেষণা চালায়। যেখানে দেখা যায় স্টেবল আইসোটোপ (^13C‑PE) ট্রেসিং ও nanoSIMS বিশ্লেষণ ব্যবহার করে ধীরে ধীরে CO₂‑তে রূপান্তর কর্মক্ষমতা পরিমাপ করা হলো। UV‑প্রক্রিয়ায় PE‑এর সাথে এই রেট ছিল প্রায় 0.044–0.05%/দিন । ২০২৪ সালের গবেষণাটি A. Vaksmaa et al. নেতৃত্বে পরিচালিত। এটি প্রথমবার সমুদ্রে পাওয়া Parengyodontium album কে UV exposed polyethylene ডিগ্রেড করে CO₂ উৎপাদনের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণ করেছে। "Biodegradation of polyethylene by the marine fungus Parengyodontium album" শিরোনামে Science of the Total Environment থেকে প্রকাশিত হয় (ভলিউম 934; প্রকাশ ২৬ এপ্রিল ২০২৪) Parengyodontium album low-density polyethylene (LDPE) ও high-density polyethylene (HDPE)-এর উপর কার্যকর প্রভাব দেখিয়েছে। 30-60 দিন ইনকিউবেশনের মধ্যে প্লাস্টিকের পৃষ্ঠে cracks, pits এবং weight loss লক্ষ্য করা গেছে। FTIR ও SEM বিশ্লেষণে পলিথিনের কাঠামোগত পরিবর্তন নিশ্চিত করা হয়েছে। Parengyodontium album ভবিষ্যতের টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি এক প্রাকৃতিক সমাধান যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর।

Read More →